Random Posts

Theme images by Storman. Powered by Blogger.

Ads Top

Home Ads

Categories

Tags

Popular Posts

Latest in Sports

Featured Posts

খুলনায় বিষাক্ত মদ পানে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩

- No comments

বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃুত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় বিষাক্ত দেশি মদ পানে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটলে শনিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তিরা সবাই স্থানীয় রিকশা চালক ও দিনমজুর। শুক্রবার রাতে তারা একসঙ্গে স্থানীয় এক দোকান থেকে চোলাই মদ কিনে পান করেন। কিছুক্ষণ পর থেকেই তাদের বমি ও চোখে অন্ধকার দেখা দেওয়াসহ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও শনিবার ভোরের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আরও তিন জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার জানান, “মদ বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মদে বিষাক্ত উপাদান মিশে যাওয়ায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সোনাডাঙ্গা এলাকার কিছু চক্র দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন চোলাই মদ বিক্রি করছে, যা প্রশাসনের নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং অনেকেই এলাকায় চোলাই মদ বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

খুলনা জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, “মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের বিষাক্ত মদ বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিষাক্ত মদ পানে কিডনি ও স্নায়ুতন্ত্রে দ্রুত প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, ফলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। তারা অননুমোদিত কোনো ধরনের মদ না পানের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় মৃতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে বলেন, “দারিদ্র্যের কারণে সস্তা মদ কিনে পান করতেই এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।”

ভারতে ১ মাস ধরে ঝুট ওয়েস্টেজ রপ্তানি বন্ধ, বিপাকে দেশের রপ্তানিকারকরা

- No comments

বেনাপোল বন্দরে ঝুট ওয়েস্টেজ ট্রাক চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সীমান্তে ১ মাস ধরে ঝুট ওয়েস্টেজ রপ্তানি বন্ধ থাকায় তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক জটিলতায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতের পেট্রাপোল ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ঝুট ওয়েস্টেজ রপ্তানি কার্যত বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পণ্য সীমান্তে আটকে থাকছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ শুল্ক ও বন্দর কাগজপত্র যাচাই নিয়ে জটিলতায় পণ্য খালাস হচ্ছে না। ফলে পণ্য রপ্তানি আটকে থাকায় কন্টেইনার ভাড়া ও পণ্যের মান নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়েস্টেজ অ্যান্ড রিসাইক্লার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানিয়েছেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদনের পর ঝুট ও ওয়েস্টেজ রপ্তানি থেকে বছরে শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আসে। ভারত এ ধরনের ওয়েস্টেজ কিনে পুনরায় রিসাইক্লিং করে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ব্যবহার করে থাকে। তবে হঠাৎ করে ভারতীয় প্রশাসনের নতুন কাগজপত্র যাচাইয়ের কারণে গত ১ মাস ধরে রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

এর ফলে পণ্য রপ্তানি করতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। সীমান্তে আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাস করতে দুই দেশের শুল্ক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

গোপালগঞ্জে সহিংসতা, কারফিউ জারি: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

- No comments
বাংলাদেশ আর্মি কারফিও

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
গোপালগঞ্জ শহরে রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার ভোর রাত থেকে শহরে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ডাকা সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে এবং পরে গুলি ছুঁড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, “নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাত ৩টা থেকে শহরে কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনায় শহরের প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। দোকানপাট বন্ধ, যান চলাচল সীমিত এবং মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেক পরিবার তাদের শিশু ও প্রবীণ সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য শহরের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এদিকে এনসিপির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা করা হয়েছে।” অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, “তাদের উসকানিতে শহরের শান্তি নষ্ট হয়েছে।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের এই সংঘর্ষ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। গোপালগঞ্জ রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন তারা। গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি বৈঠক ডেকেছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ উপস্থিতি রাখা হবে।”

নারী-শিশু সুরক্ষায় একযোগে মাঠে সরকার-এনজিও: আসছে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ’ কর্মসূচি

- No comments
নারী ও শিশু
নারী ও শিশু সুরক্ষায় মাঠে সরকার ও এনজিও

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে দেশে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় সমন্বিত ‘নিরাপদ বাংলাদেশ’ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন এনজিও এক প্ল্যাটফর্মে এসে নির্যাতন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০টি জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ‘সেফটি ডেস্ক’ খোলা হবে, যেখানে সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তা, চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সেবা পাবেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সহিংসতার শিকার হওয়ার পর মামলা করতে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও সামাজিক চাপে অনেকেই মুখ খুলতে পারেন না। নতুন কর্মসূচির আওতায় নির্যাতনের অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়া মাত্র পুলিশ, নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “এখন আর সহিংসতার অভিযোগ পড়ে থাকবে না। স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং এনজিও কর্মীরা যৌথভাবে ঘটনার দিনেই পদক্ষেপ নেবেন।” এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকেও এ প্রকল্পের আওতায় নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের প্রাথমিক হেল্প ডেস্ক হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা তৈরিতে স্কুল, কলেজ এবং মসজিদে বিশেষ সেশন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে গ্রামীণ পর্যায়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলোর গতি আসবে এবং সহিংসতার শিকারদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে কাজ করলে নির্যাতন প্রতিরোধের পাশাপাশি সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাংবাদিকদের উপর খেলা চলছে

- No comments
নিজস্ব প্রতিবেদক গভীর নীরবতা ভেঙে গেল টিভি নিউজরুমে। একে একে কিছু মুখোমুখি বসা, কিছু ফোনে ফিসফিসে কথা—কে কোথায় যাচ্ছেন, কে কোন খবর দিচ্ছেন, কার ওপর চাপ আসছে—সবকিছু যেন এক অদৃশ্য চাপের ছায়ায় ঢাকা। দেশের গণমাধ্যম যখন অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে, তখন সাংবাদিকদের উপর নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ আর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে টিভি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আচমকা শাস্তিমূলক বদলি, হুমকি এবং খবর প্রকাশে বাধার অভিযোগ উঠছে। একাধিক সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, ‘সংবাদ পরিবেশনের স্বাধীনতা নিয়ে এক অদৃশ্য খেলা চলছে, যা বোঝা যাচ্ছে কিন্তু বলা যাচ্ছে না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক টিভি সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে সাংবাদিকতার জায়গা ছোট হতে হতে একসময় হারিয়ে যাবে।’ কেউ কেউ বলেছেন, ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপের মধ্যে নিউজ রুমে প্রতিদিন খবর বাছাই হচ্ছে।’ সম্প্রতি কয়েকটি চ্যানেলের শীর্ষ পর্যায়ের সম্পাদকরা একান্ত আলোচনায় বসেছেন বলে জানা গেছে। উদ্দেশ্য একটাই—এই চাপ ও খেলাধুলার পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বের হওয়া যায়। আলোচনায় প্রস্তাব এসেছে, সব টিভি নিউজরুমের মধ্যে ন্যূনতম সমন্বয় ও সহমর্মিতা থাকলে কিছু অযাচিত চাপ মোকাবিলা সম্ভব। টিভি সাংবাদিকদের অনেকে মনে করছেন, দেশের গণমাধ্যমে এই ‘অদৃশ্য খেলা’ বন্ধ না হলে সত্যিকার সংবাদ আর মানুষের কাছে পৌঁছাবে না, বরং থাকবে সাজানো কিছু ফুটেজ আর হেডলাইন যুদ্ধের মধ্যে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সংবাদ পরিবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ চাচ্ছেন পেশাদার সংবাদকর্মীরা। তা না হলে সংবাদকর্মীদের উপর চলতে থাকা এই ‘খেলা’ একদিন গণমাধ্যমের উপরেই উল্টে পড়বে বলে আশঙ্কা অনেকের।

চাঁদা না দেওয়ায় ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নির্মম হত্যা – ঢাকায় জাতীয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ

- No comments

Chadabaz
চাঁদা না দেয়ায় ইট পাথর দিয়ে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের নিকটে চাঁদা না দেওয়ায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ী মোঃ সোহাগ (৪৩) পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা এবং ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উগ্র একটি চাঁদাবাজি চক্র তার ওপর বর্বর আচরণ করেছে। ডিএমপি এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে, কার্যক্রম এখনো চলমান । বুধবার সন্ধ্যা প্রায় ৬টার দিকে রজনী ঘোষ লেন এলাকায় ঘটে।অভিযুক্তরা দীর্ঘ দুই–তিন মাস ধরে ব্যবসায়ী সোহাগকে চাঁদা দাবি করছিল। অভিযোগ, মূলতো চাঁদা না দেওয়ায় পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। স্যোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় অভিযুক্তরা তাকে নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে এবং মাথায় পাথর আঘাত করে। ডিএমপি জানায় এটি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নয় বরং চাঁদাবাজির কারণেই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহ করে থাকা মঈন ও আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বডি মুভমেন্ট, মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ওপরের ভিডিও যাচাই–বিচার চলছে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে। ভিডিও ভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে ধিক্কার, এর প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি “আইয়ামে জাহেলিয়াতের বর্বরতা” হিসেবে উল্লেখ করে কঠোর বিচার দাবি করেছেন। হাসপাতাল অঞ্চলে ও নির্ভরযোগ্য এলাকায় রাউন্ড দ্য ক্লক পুলিশ টহল ও সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানো। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট নেতাদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে জীর্ণতর আইনের ধারায় কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা চাঁদাবাজিদের মুক্তিপথ বন্ধ করতে স্থানীয় কমিউনিটিতে শিক্ষার মাধ্যমে সতর্কতা ও প্রতিবাদ গড়ে তোলা। 

ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনা আবারও তুলে দাঁড় করিয়েছে চাঁদাবাজি–স্বৈরাচারী চিন্তার ভয়াবহ চিত্র। আর যদি প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ় সংগ্রাম না করে, তাহলে এমন নির্মম হত্যা ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়তেই থাকবে। জনসাধারণ ও আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সাথে নিয়ে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন জরুরি।


গাজীপুরের কাঁঠাল পেল ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) স্বীকৃতি: ঐতিহ্যের নতুন স্বীকৃতি

- No comments

গাজীপুর এর কাঁঠাল
জিআই পেল গাজীপুর এর সুস্বাদু কাঁঠাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বাংলাদেশের কৃষিখাতের গর্ব ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে গাজীপুরের কাঁঠাল এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সুস্বাদু ফল কাঁঠালের এই স্বীকৃতি শুধু গাজীপুরবাসীর জন্যই নয়, পুরো দেশের জন্যই এক গর্বের বিষয়।

GI (Geographical Indication) স্বীকৃতি হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সনদ, যা কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলভিত্তিক পণ্যের গুণমান, খ্যাতি ও উৎপাদন পদ্ধতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গাজীপুরের কাঁঠাল তার স্বাদ, সুগন্ধ ও রসাল গঠন-এর জন্য বহু আগে থেকেই বিখ্যাত। এখন GI ট্যাগের মাধ্যমে এই বিশেষত্ব আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত হলো।
গাজীপুরের কাঁঠালের বৈশিষ্ট্য:
GI স্বীকৃতির লাভ কী?
২০২৫ সালের জুলাই মাসে গাজীপুরের কাঁঠাল আনুষ্ঠানিকভাবে GI নিবন্ধন লাভ করে।
স্থানীয় চাষি আব্দুল হালিম বলেন,
গাজীপুরের কাঁঠাল GI তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কৃষি পণ্য হিসেবে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে। এটি শুধু কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকেই নয়, দেশের খাদ্য ও রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা যায়।














গাজীপুর এর বিখ্যাত কাঁঠাল
কাঁঠালের কোষ ও বিচি খুবই পুষ্টিকর






·
          বিশেষ সুগন্ধযুক্ত

·        তুলনামূলক নরম শাঁস

·        স্বাদে অতুলনীয় মিষ্টি


·        সহজে সংরক্ষণযোগ্য

·        রপ্তানিযোগ্য মানসম্পন্ন

·       ️ নকল প্রতিরোধে সহায়তা করবে

·       ️ চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করবে

·       ️ রপ্তানি বাড়বে আন্তর্জাতিক বাজারে

·       ️ আঞ্চলিক ব্র্যান্ডিং ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে

“আমরা অনেক আগে থেকেই জানি, গাজীপুরের কাঁঠালের মতো মিষ্টি কাঁঠাল আর কোথাও নেই। এখন সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়ে আমরা অনেক খুশি।”